বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর :
রংপুর মহানগরীর উত্তম মাস্টারপাড়ায় এলাকায় জমি লিখে না দেয়া নাসিমা খাতুন (৬৪) নামের এক বৃদ্ধাকে বেধড়ক মারপিটসহ হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে আপন ছেলে ও তাদের স্ত্রীরা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তামানে হাসপাতালের ১৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় ওই বৃদ্ধা বাদি হয়ে হাজিরহাট মেট্রোপলিটন থানায় বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে ছেলে ও ছেলের স্ত্রীসহ সাঙ্গপাঙ্গদের হুমকি-ধামকিতে বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই বৃদ্ধা। তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কৃর্তপেক্ষর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে পুলিশ এখনও কোন আসামীকে গ্রেফতার না করায় ভুক্তভোগী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, রংপুর মহানগরীর ২ নং ওয়ার্ডের উত্তম মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত শামসুল হকের স্ত্রী মোছাঃ নাসিমা খাতুন (৬৪) অন্যছেলেরা তার ভরণপোষণ না দেয়ায় তার ছোট ছেলে মারুফ হোসেনের সাথে বসবাস করে আসছেন। কারণ অপর ছেলেরা তার কোন খোঁজ খবরও নেয় না। এমতাবস্থায় অপর ছেলেরা শহিদুল ইসলাম সুমন (৪৫), সুজন মিয়া (৪০), ইমাম হাসান বাবু (৩৭) ও তাদের স্ত্রীরা মোছাঃ শাহানা বেগম (৩৮), মোছাঃ সেলিনা বেগম (৩৫), মোছাঃ মুন্নি বেগম (৩৩) ও রুবেল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ কুলসুম বেগম (২২), সুলতান মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ মাহমুদা বেগম (৩৮)সহ তাদের শশুরবাড়ির লোকজন মিলে বাদির জমিজমা লিখে চায়। দলিল করে চায়। এতে তিনি অনীহা প্রকাশ করলে দীর্ঘদিন ধরে মারপিটসহ হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে। এরই মধ্যে গত ২৭ অক্টোবর রোববার দুপুরে আমার ছোট ছেলের বাড়িতে অবস্থানকালে ও সে বাড়িতে না থাকার সুযোগে বিবাদী মোঃ ইমাম হাসান বাবু ও মোছাঃ মুন্নি বেগমদ্বয় আমার বাড়ীতে জোরপূর্বক প্রবেশ করিয়া আমার নিকট জমি দলিল করিয়া চায়। আমি অপারগতা প্রকাশ করিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যাযে এলোপাথারীভাবে মারপিট চড়থাপড় কিলঘুষি মারিতে থাকলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামীরা গলাটিপে ধরেন। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা এগিয়ে নাসিমা খাতুনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময় বাড়ীঘর চেয়ার টেবিল, ফ্যানসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে আসামীরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগী প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।